ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর "গ্রেটার ইসরায়েল" পরিকল্পনাকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশসহ ৩১টি ইসলামী ও আরব দেশ।
শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ইসরায়েলের এ ধরনের পরিকল্পনাকে হুমকি বলে অভিহিত করেছে দেশগুলো। খরব আরব নিউজ।
এর পূর্বে মঙ্গলবার একটি সংবাদ মাধ্যমকে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, তিনি গ্রেটার ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত একটি ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক মিশনে আছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ শব্দটি ইসরায়েলি রাজনীতিতে পশ্চিম তীর, গাজা এবং সিরিয়ার গোলান হাইটসসহ ইসরায়েলের ভূখণ্ডের সম্প্রসারণকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যার কিছু ব্যাখ্যায় মিসরের সিনাই উপদ্বীপ এবং জর্ডানের কিছু অংশও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে জর্ডান, মিসর, কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইয়েমেনসহ আরব লীগ, ওআইসি ও জিসিসির মহাসচিবরা নেতানিয়াহুর এমন পরিকল্পনার প্রতি তীব্র নিন্দা জানান। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ পরিকল্পনা আরব জাতীয় নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌথ বিবৃতিতে তারা আরও জানান- এমন মন্তব্য আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তির প্রতি একটি গুরুতর অবজ্ঞা এবং আন্তর্জাতিক আইনের একটি স্পষ্ট ও বিপজ্জনক লঙ্ঘনের প্রতিনিধিত্ব করে।
মুসলিম জোট জোর দিয়ে জানিয়েছে, সদস্য রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক বৈধতা এবং বল প্রয়োগ বা হুমকি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে জাতিসংঘের সনদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও তারা শান্তি রক্ষাকারী সমস্ত নীতি এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিবৃতিতে উগ্র ডানপন্থি ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ কর্তৃক অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি নতুন বসতি নির্মাণের অনুমোদন এবং একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রত্যাখ্যানেরও নিন্দা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনও অংশের ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব নেই এবং সমস্ত ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের কার্যকলাপকে আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ২৩৩৪ লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করা হয় ।