২১ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয় সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজের।যার ফলে দুটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি একেএম মাহফুজুল হক।
এই সংঘর্ষে মোট ১১ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন_ আইডিয়াল কলেজের দুইজন,সিটি কলেজের চারজন ও ঢাকা কলেজের পাঁচজন। আহতদের পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ল্যাবএইড হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ধানমন্ডি পুলিশের সহকারী কমিশনার এসি শাহ মুহাম্মদ তারিকুজ্জামান এই বিষয়টি নিশ্চিত জানিয়েছেন।
ঘটনার সময় ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দেয়। সেই সময় সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের একটি বাসও ভাঙচুর করে।
জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত ১৮ তারিখ,সেদিন সিটি কলেজের ২ জন শিক্ষার্থীর আইডি কার্ড ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা কেড়ে নেয়।এরপর মঙ্গলবার কোচিং সেন্টারে আসন বিন্যাস নিয়ে সিটি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজের কয়েকজনকে মারধর করে।সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায় যে, তাদের ১ জন ছাত্রকে বাস থেকে নামিয়ে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা মারধর করে। পরে আবার ঢাকা কলেজের ১ জনকে একা পেয়ে সিটি কলেজের ছাত্ররা মারধর করে। আবার ঢাকা কলেজের ছাত্ররা সিটি কলেজের ছাত্রদের অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিয়েছিলো এবং তাদেরকে নিয়ে কটুক্তি করে ছিলো। তারা আরো জানায়, ১ জনকে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং আরেকজন কে মুখে আঘাত করা হয়েছে। ২ জনই পপুলার মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে।
এরপরে দুপুর ১২ টার দিকে আরো জানানো হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সায়েন্স ল্যাব এলাকায় পর্যায়ক্রমে ইট-পাটকেল ছোঁড়া অব্যাহত ছিল, এই সময় দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আরও সংঘর্ষ এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই বিস্ফোরণগুলি চালানো হয়েছে। এর পরবর্তীতে উভয় পক্ষই নিজেদের ক্যাম্পাসে ফিরে গেছে।
এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রায়ই সংঘর্ষে জড়ায়, যার ফলে সাইন্সল্যাব এবং এর আশেপাশে ব্যস্ততম এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।