নতুন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেখা যাচ্ছে পলাতক পুলিশ কর্মকর্তা (পিবিআই প্রধান) বনজ কুমার মজুমদারের। সেখানে বলা হয়েছে
"পলাতক পুলিশ কর্মকর্তা (পিবিআই প্রধান) বনজ কুমার মজুমদার ছিলেন ভারতীয় পাসপোর্টধারী নাগরিক। তিনি ভারতের ভোটারও ছিলেন। অতিরিক্ত আইজিপি থেকে পদোন্নতি দিয়ে তাকে পিবিআই এর প্রধান করার সময় তার জীবন ও কর্মবৃত্তান্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয় এবং তার ভারতীয় পাসপোর্ট বহন ও নাগরিকত্বের বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে নোট আকারে (আপত্তি) জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী কোন প্রকার বাক্যব্যয় না করে তার পদোন্নতি অনুমোদন করেন এবং তাকে "ডিস্টার্ব না করার নির্দেশ দেন"। উল্লেখ্য যে তৎকালীন সময়ে পুলিশ ও প্রশাসনের সকল উর্ধ্বতন কর্মকতার (নিয়ম বহির্ভূত ভাবে) নিয়োগ পদোন্নতি ও বদলি হতো সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে।"
পোষ্টটিতে আরো বলা হয়েছে "নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র (বিস্তারিত আসছে)"
আজ প্রশ্ন উঠছে –
যদি এই তথ্য সত্য হয়ে থাকে, তাহলে কেনো বাংলাদেশের পুলিশের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থার প্রধান আসনে বসানো হলো একজন বিদেশি নাগরিককে?
কেন এই সত্য গোপন করা হয়েছিল?
আর কত অন্ধকার রহস্য লুকিয়ে আছে আমাদের প্রশাসনের ভেতরে?
২০২০ সালের মার্চ মাসের ২৩ তারিখে, বনজ কুমার মজুমদার প্রজাতন্ত্রের একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও ইজরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেটের একটি বক্তব্য তার ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। অথচ ইজরাইলের সাথে বাংলাদেশের কুটনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক তথা সব ধরণের সম্পর্ক নিষিদ্ধ।
পাঁচ বছর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ইউনিট চাকরি করার পর বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে পুলিশের এডিশনাল আইজিপি পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। তারপর ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জুলাই মাসের ৩০ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ শাখা থেকে উপসচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখের সই করা প্রজ্ঞাপনে তাকে অবসরে পাঠানোর তথ্য জানানো হয়েছিলো।