প্রিন্ট এর তারিখঃ Aug 26, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Aug 21, 2025 ইং
নিউরোসায়েন্সেসে ভর্তি ১৬৭ জুলাই আহতের বেশির ভাগের মাথায় খুলি ছিলো না

গতকাল বুধবার(২০ই আগস্ট) শেখ হাসিনা সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধি অপরাধের মামলার সাক্ষ্য প্রদান কালে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালটির নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী আধ্যপক মাহফুজ রহমান জানান, আন্দোলনের চলাকালে হাসপাতালে আনা গুরুতর আহত ১৬৭ জনের বেসির ভাগেরি মাথার খুলি ছিলো না।
চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দিতে বলেন, ‘১৮ জুলাই থেকে গুলিবিদ্ধ রোগী আসতে থাকে। রোগীদের মাথায়, হাতে, পায়ে, পিঠে, মুখে, গলায় গুলি ও পিলেটবিদ্ধ ছিল। গুলিগুলো ছিল বড় সাইজের। ৪-৫ আগস্ট যেসব রোগী আসে, তাদের অধিকাংশের মাথায়, বুকে, মুখে, গলায় গুলিবিদ্ধ ছিল। আমাদের হাসপাতালে ৫৭৫ জন গুলি ও পিলেটবিদ্ধ রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সিট সংকুলান না হওয়ায় এবং গুরুতর আহত রোগীর চাপ বেশি থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত ১৬৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের বেশিরভাগেরই মাথার খুলি ছিল না। তাদের মধ্যে চারজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। ২৯ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড পাঠানো হয়।’
বিচার পতি গোলাম মতৃর্জা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুলাল-১ এ দেয়া জবান বদ্ধিতে এসদ কথা জানায় সাক্ষি মাহফুজ রহমান।
© ২০২৫, বিয়ন্ডস্টার ডিজিটাল লি: সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।